সসীম সম্পদের মাধ্যমে অসীম চাহিদা পূরণের জন্য জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করার একমাত্র হাতিয়ার হলো শিক্ষা। শিক্ষার্থীকে শুধু পুথিগত জ্ঞান দানই শিক্ষা নয়। শিক্ষা হলো একজন শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশের একটি ধারাবাহিক প্রচেষ্ঠা, যার মাধ্যমে তার আচরণের পরিবর্তন ঘটে। আর ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষ ও শিক্ষিত একটি জনগোষ্ঠি। এরূপ একটি জনগোষ্ঠি তৈরী হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেণীকক্ষে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষ ও শিক্ষিত একটি জনগোষ্ঠি তৈরীর গুরু দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরে অবস্থিত শেরপুর সরকারি কলেজ। দেশের অনেক মনীষী, পণ্ডিত ও কৃতবিদ্য শিক্ষক যেমন প্রতিষ্ঠানটি আলোকিত করেছেন, তেমনি এখানকার শিক্ষার্থীদের অনেকেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রেখেছেন কৃতীর স্বাক্ষর। প্রতিষ্ঠানটি ভাষা আন্দোলন ও মহান মু্ক্তিযুদ্ধসহ আমাদের জাতীয় ইতিহাসের প্রতিটি গৌরবময় অধ্যায়েরও গর্বিত অংশীদার। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও শেরপুর সরকারি কলেজ তার গৌরবের উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে।